তাইওয়ান প্রসঙ্গে জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সাম্প্রতিক মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। বেইজিং বলেছে, জাপান একেবারে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, যা তারা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা গভীর অসন্তোষ ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাইওয়ান ইস্যু চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার সঙ্গে জড়িত। এটি একান্তই চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না।”
এর আগে জাপানি প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি বলেছিলেন, “যদি চীন তাইওয়ানে সামরিক হামলা চালায়, তাহলে তা জাপানের জন্য ‘অস্তিত্ব-সংকটের পরিস্থিতি’ তৈরি করবে।” তাঁর এই মন্তব্য চীন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং কূটনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
বিষয়টির পেছনের প্রেক্ষাপট:
- তাইওয়ান ১৯৪৯ সাল থেকে স্বশাসিত একটি দ্বীপ হলেও বেইজিং এটিকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে।
- দ্বীপটির নিজস্ব গণতান্ত্রিক সরকার থাকলেও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেনি।
- আন্তর্জাতিকভাবে মাত্র কয়েকটি দেশ তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয়; বেশিরভাগ দেশ “এক চীন নীতির” প্রতি সম্মান দেখায়। বিশ্লেষকদের মতে, জাপান সরকারের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য শুধু একটি নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ নয়, বরং তা পূর্ব চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও অন্যান্য শক্তিধর রাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক অবস্থান ইতিমধ্যেই বেশ টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে।
চীন-জাপান সম্পর্ক বরাবরই সংবেদনশীল ও জটিল। তাইওয়ান ইস্যুতে প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
